হাওজা নিউজ বাংলা রিপোর্ট অনুযায়ী, গ্রন্থ শিরোনাম : চল্লিশটি অমীয় বাণী (সমস্যা সমাধানের জন্য বারোটি দোয়া সহ)
সংকলক : আল্লামা শেখ আব্বাস কুম্মী রহঃ।
প্রথম অমীয় বাণী।
প্রথম ওয়াক্তে নামায কায়েম করার উপকারিতা।
عَنِ ابْنِ مَسْعُوْدٍ قَالَ سَئَلْتُ رَسُوْلَ اللّٰهِ(صلی الله علیه و آله وسلم) أَيُّ الْاَعْمَالِ اَحَبُّ اِلَی اللّٰهِ؟
قَالَ: اَلصَّلٰوةُ لَوْ وَقْتِهَا
ثُمَّ أَيُّ شَيْئٍ؟
قَالَ: بِرُّ الْوَالِدَیْنِ
قُلْتُ ثُمَّ اَیُّ شَيْئٍ؟
قَالَ: اَلْجِهَادُ فِیْ سَبِیْلِ اللّٰهِ
ইবনে মাসউদ থেকে বর্ণিত হয়েছে যে, তিনি বলেন, আমি নবী করীম (সাঃ)-কে জিজ্ঞাসা করি : কোন আমল আল্লাহর নিকট পছন্দনীয়?
তিনি (সাঃ) বলেন : সময় মতো নামায আদায় করা (অর্থাৎ ফজিলত ও প্রথম ওয়াক্তে নামায আদায় করা)।
আমি আবারও জিজ্ঞাসা করি : তার পরে কোন আমল?
তিনি (সাঃ) বলেন : পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহার করা।
আমি পুনরায় জিজ্ঞাসা করি : তার পরে কোন আমল?
তিনি (সাঃ) বলেন : আল্লাহর পথে জিহাদ করা।
সূত্র, ওয়াসায়েলুশ শিয়া খন্ড ৩ পৃষ্ঠা ৮২..
ফকির (শেখ আব্বাস কুম্মী রহঃ) বলেন যে, একই নিবন্ধটি শেখ কুলাইনী (রহঃ) মনসুর ইবনে হাযিম এর মাধ্যমে ইমাম জাফর সাদিক্ব (আঃ) থেকে বর্ণিত করেছেন।
প্রথম ওয়াক্তে নামায কায়েম করার ব্যাপারে অনেক হাদীস বর্ণিত হয়েছে।
এক রেওয়ায়েতে উল্লেখ হয়েছে যে, "পূর্ব বা পাশ্চাত্যে এমন কোনও বাড়ি নেই যেদিকে দিবারাত্রে পাঁচ ওয়াক্তের নামাযের সময় হযরত আয্রাইল (আঃ) তার দিকে নজর করেন না। সুতরাং যখন তিনি এমন কোন মানুষের রুহ কবজ করতে চান যিনি নামাযের খিয়াল করেন এবং তা প্রথম ওয়াক্তে আদায় করেন তখন তিনি তাকে কলিমা-এ-শাহাদাতাইন (লা'ইলাহা ইল্লাল্লাহ মুহাম্মদুর রাসূলুল্লাহ) এর শিক্ষা দেন। আর সেই সাথে অভিশপ্ত শয়তানকে তার কাছ থেকে বিতাড়িত করেন। "
তাছাড়া এটাও লক্ষ করা উচিত যে, পিতা-মাতার সাথে সদ্ব্যবহার করার ব্যাপারে অনেক রেওয়ায়েতে উল্লেখ হয়েছে। একটি রেওয়ায়েতে বর্ণিত হয়েছে যে, একদা এক যুবক জিহাদের প্রতি অনুরাগী ছিল কিন্তু তার পিতা-মাতা তাতে রাজি ছিলেন না। মহানবী (সাঃ) তাকে আদেশ করেন :
"নিজের পিতা-মাতার সাথে থাক। আর ঐ আল্লাহর শপথ যার হাতে আমার জীবন, তোমার প্রতি পিতা-মাতার এক দিনের ভালোবাসা, তোমার এক বছরের জিহাদ করার চেয়েও উত্তম।"
ইব্রাহিম ইবনে শোয়েব ইমাম জাফর সাদিক্ব (আঃ)-এর কাছে জিজ্ঞাসা করেন : আমার পিতা বৃদ্ধ ও দুর্বল, তিনি যখন মলত্যাগের ইচ্ছা করেন তখন আমি তাকে নিয়ে যাই।
তিনি (আঃ) বলেন : যদি সম্ভব হয় তবে তুমি নিজেই এ কাজ কর। অর্থাৎ তাকে মলত্যাগের জন্য নিয়ে যাও এবং তাকে নিজে হাতে খাদ্য খাওয়াও, কারণ আগামীকাল তোমার জন্য তোমার পিতা জাহান্নাম থেকে রক্ষা কবচ।
লেখা: হুজ্জাতুল ইসলাম মাওলানা মাসুম আলী গাজী (নাজাফ ইরাক)